ঢাকা | বঙ্গাব্দ

আজ তিন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 31, 2025 ইং
আজ তিন রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস ছবির ক্যাপশন: মাননীয় প্রধন উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ad728

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ (রোববার) বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, বিকেল ৩টায় বিএনপির সঙ্গে, সাড়ে ৪টায় জামায়াতের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৬টায় এনসিপির সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। বিষয়টি শনিবার বিকেলে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান তাঁর প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এর আগে গত ২২ জুলাই বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. ইউনূস। তারও আগে ২১ জুলাই বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় বিক্ষোভের পর দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। এরপর দুই দিনের ব্যবধানে আরও ২৫টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

শেখ হাসিনার পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে। দায়িত্ব গ্রহণের তিন দিন পর, ১১ আগস্ট, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিলে বিভিন্ন সময়ে দলগুলোকে আলোচনায় ডেকেছেন। গত এক বছরে বিএনপি ও জামায়াত তাঁর সঙ্গে পাঁচবার করে বৈঠক করেছে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে শুক্রবার জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষে। ওই ঘটনায় পুলিশ ও সেনাসদস্যদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তাঁর মাথায় আঘাত এবং নাকের হাড় ভেঙে যায়। এ প্রেক্ষাপটেই নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা। এনসিপি ও জামায়াত ইতিমধ্যে বৈঠকে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সরকার জানিয়েছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে জুলাই সনদ এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক থাকায় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব স্পষ্ট করে বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদও একই সুরে মন্তব্য করেছেন “আল্লাহ ছাড়া ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই।”

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের জানিয়েছেন, তাদের প্রধান দাবি হলো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং পিআর পদ্ধতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়া। নির্বাচনকালীন সময় নিয়ে তাদের আপত্তি নেই।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের আয়োজন সরকারের অঙ্গীকার। নির্বাচন ব্যাহত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র বা প্রচেষ্টা সরকার এবং গণতন্ত্রকামী জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেন : নিজস্ব প্রতিবেদক

কমেন্ট বক্স